ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এই প্রতীক না পেলে নিবন্ধনও নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, প্রতীকের বিষয়ে এই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এনসিপি।
এদিন বিকেলে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে আসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন।
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো প্রভাব বা শক্তি তাদের (ইসি) ওপর বিরাজ করছে অথবা প্রতীক প্রশ্নকে রেখে তারা নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে এবং এই মাস পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।”
'আড়াই ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিট আমরা ১৮ বছরের যে ভোটাধিকারের বয়স সেটা নিয়ে কথা বলেছি। প্রবাসী ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলেছি,' বলেন তিনি।
শাপলা প্রতীকের দাবিতে এনসিপি অনড় জানিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “দুই ঘণ্টা আমরা ওনাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, প্রতীক যদি না দিতে চান সেটাতে আপনার ব্যাখ্যা কী? দুই ঘণ্টা উনারা নিশ্চুপ ছিলেন, কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। যদি শাপলা না দেন, তাহলে ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং সেই ব্যাখ্যাটা তাদের দিতেই হবে যেহেতু তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।”
পাটওয়ারী বলেন, “নিবন্ধন যদি আমাদেরকে দিতে হয় সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না এবং এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সামনে দুইটি রাস্তা আছে-একটি হলো ধান, তারা, সোনালী আঁশ বাতিল করা অথবা শাপলা দেওয়া। ভাতৃপ্রতীম রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কারও প্রতীক বাতিল না হোক।”
শাপলা প্রতীকের দাবিতে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
বৈঠক শেষে খালেদ সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার নিবন্ধন চলবে। জেন-জি ও তরুণ ভোটারদের কথা ভেবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটার হওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।
প্রবাসী ভোটারদের অ্যাপ চালু হতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আমরা তাগাদা দিয়েছি। এই অ্যাপ ট্রায়াল ও এররের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ার দিকে ইসি যাচ্ছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীদের ভোটের বাইরে রাখার পাঁয়তারা চলছে। কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাপটি অক্টোবরের মধ্যে তারা চালু করবেন।