
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৬ অর্থবছরের জন্য শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জন পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন তিনি। যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন সীমা। এছাড়া কাদের লক্ষ্য করে এই সুবিধা দেয়া হবে তাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হোয়াইট হাউসের এক নথিতে বলা হয়, এই সীমিত সংখ্যক শরণার্থীর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, বার্ষিক শরণার্থী নির্ধারণ সংক্রান্ত ঘোষণায় ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবার এমন ব্যক্তিদের ওপর জোর দেবে যারা নিজ নিজ দেশে অবৈধ বা অন্যায় বৈষম্যের শিকার। প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানরা কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে বর্ণভিত্তিক নিপীড়নের মুখে রয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কাউকে কেবল তখনই আশ্রয় দেওয়া হবে যখন সেটা দেশের সর্বোত্তম স্বার্থ হবে। ওই ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পর শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের জন্য বিশেষ শরণার্থী সুযোগ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত মাত্র ১৩৮ জন দক্ষিণ আফ্রিকান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ সরকারি নথি অনুযায়ী, প্রশাসন ইউরোপীয় নাগরিকদের মধ্য থেকেও কিছু মানুষকে শরণার্থী হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে পারে। যদি তারা অভিবাসনবিরোধী মত বা জনতাবাদী রাজনীতির সমর্থনের কারণে নিজ দেশে লক্ষ্যবস্তু হন। তবে ট্রাম্পের প্রকাশিত ঘোষণায় ইউরোপীয়দের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন আইনে শরণার্থী সীমা নির্ধারণের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ডেমোক্রেট সদস্যরা জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমন কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রতিনিধি জেমি রাসকিন, সিনেটর ডিক ডারবিনসহ একাধিক আইনপ্রণেতা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এই অদ্ভুত প্রেসিডেন্টশিয়াল সিদ্ধান্ত কেবল নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য নয়, এটি আইনগতভাবেও অবৈধ ও অকার্যকর। প্রশাসনের এক কর্মকর্তা শাটডাউনের কারণে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শাটডাউন চলবে ততক্ষণ কোনো শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
পালাবদল/এসএ