ঢাকা: ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগপর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য নাগরিকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বর্তমানে প্রতিবছর ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়, তারা পরবর্তী জানুয়ারি মাসে হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এরপর মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, অর্থাৎ যাদের বয়স ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৮ বছর হয়, তারা পরবর্তী জানুয়ারি মাসের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। নির্বাচন কমিশন প্রতিবছরের ২ জানুয়ারি ওই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেসব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হয়, অর্থাৎ ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য হন, তারা ওই নির্বাচনে ভোটাধিকারের সুযোগ পান না। তাদের পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
ফয়েজ আহম্মদ আরও বলেন, এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাদের ভোটার তালিকায় নিয়ে আসাকে যৌক্তিক মনে করে। এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরুন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তার সর্বোচ্চ দুই মাস আগে তফসিল ঘোষিত হয়। সে হিসেবে সর্বোচ্চ নভেম্বর, তার মানে নভেম্বর পর্যন্ত যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তারা ভোটার হওয়ার সুযোগ পান না। বরং আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তারাই ভোটাধিকার পান।
ফয়েজ আহম্মদ বলেন, আজ যে অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন করা হলো, এর ফলে যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার অন্তত এক মাস আগপর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হবে, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।