ঢাকা: কোনো চাপ নয় বরং বিভ্রান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলেও নৌকা প্রতীক নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে সংরক্ষিত থাকবে। তবে এটা আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতীকের তফসিলে নৌকা থাকলেও বিভ্রান্তি এড়াতে সাপ্লিমেন্টারি প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা সরিয়ে রাখা হয়েছে।”
আখতার আহমেদ বলেন, “জনমনে সম্প্রতি কিছু কথাবার্তা দেখা যাচ্ছে নৌকা প্রতীক নিয়ে। এই বিভ্রান্তি যেন না থাকে বা এ ধরনের কোনো কনফিউশন যেন না থাকে সেজন্য কমিশন এটাকে সরিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে আর এর কোনো কারণ নেই।”
“তবে সিডিউলে (নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮) নৌকা থাকবে। কিন্তু সেই নৌকাটা সংরক্ষিত থাকবে বা এটা আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না,” বলেন তিনি।
কোনো চাপে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “ইলেকশন কমিশনে যদি চাপে থাকবে তাহলে আমি কথা বললাম কেন? কোনো চাপ বা কিছু নেই।”
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে কেন আবার শিডিউলভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের কাছে রেখেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ওই পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “অভিশপ্ত নৌকা মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ–অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা? পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামিলীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ১২ মে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।