ছয় হাজারের গণ্ডি টপকে গেল ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের বিচারে গোটা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১ জন। তবে বেসরকারি মতে, আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি বহু হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন করোনা আক্রান্ত বহু রোগী। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তবুও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও বিধি নিষেধও নেই। এখনও জারি হয়নি কোনও নির্দেশিকা, নেই কোনও তথ্যও।
আজ রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৫৩ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ১৩৩ জন। করোনা সংক্রান্ত কারণে গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে তিনজন কেরালার বাসিন্দা। একজন তামিলনাড়ু ও দুইজন কর্নাটকের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৩৭ জন।
২২ মে প্রর্যন্ত দেশে মোট ২৫৭ জন সক্রিয় রোগী ছিলেন। এই বছরের জানুয়ারী থেকে দেশে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন কেন্দ্র্রীয় স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় কেরালায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৪৪ জন। সেরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৫০ জন। আক্রান্তের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা।
গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫ জন। সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট।
সংক্রমণের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ৫৯৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ জন। রাজস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্ত ১৯৪ জন। নতুন করে আক্রান্তের খবর নেই। তবে একজনের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে। উত্তর প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নুতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্ণাটকে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬৬ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ জন। দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা দেশে করোন বৃদ্ধির কারণে সমস্ত রাজ্যকে অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের যোগান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে।