লালমনিরহাট: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য জিএম কাদের এবং তার স্ত্রী লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদেরের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত রোববার লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি খলিলুর রহমান (৬৬)।
তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে মারধর ও প্রাণনাশের চেষ্টা করেন আসামিরা।
খলিলুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমি লালমনিরহাট শহরের নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিলাম। জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের নির্দেশে অন্য আসামিরা আমাকে জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে এনে প্রকাশ্যে মারধর করেন। স্থানীয়রা না এলে হয়তো আমাকে মেরে ফেলতেন।”
তিনি আরও বলেন, “তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তখন মামলা করতে পারিনি। কিন্তু এই হামলার বিচার পাওয়া আমার অধিকার। তাই এতদিন পর হলেও আমি থানায় মামলা করেছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে শেরিফা কাদের বলেন, “আমি খলিলুর নামে কাউকে চিনি না। নেছারিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে আমি বা আমার স্বামী কেউই যাইনি। কাউকে ভয় দেখানো বা হামলা করার কোনো পরিস্থিতিই আমরা তৈরি করিনি।”
“এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ছয় বছর পর এ ধরনের নাটকীয় মামলা করা হয়েছে”, বলেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মামলাটি দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। এতে আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।”