গতবছর সহিংসতা শুরুর পর একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৫৮) জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। ছবি: রয়টার্স
মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিংহের পদত্যাগের চার দিন পর ভারতের মনিপুর রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, মনিপুর বিধানসভাকে 'স্থগিত' রাখার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মনে করছেন, “এই পরিস্থিতিতে সংবিধানের বিধান অনুসারে ওই রাজ্য সরকার পরিচালনা করা সম্ভব না।”
“অতএব, সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষমতার বলে আমি, ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনিপুর রাজ্য সরকারের সব কার্যাবলী ও রাজ্য সরকারের হাতে থাকা প্রয়োগযোগ্য সব ক্ষমতা নিজের হাতে গ্রহণ করছি,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বীরেন সিংহের পদত্যাগের পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে বিজেপি। এই সময়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণাটি এল।
মনিপুরের বিজেপি-প্রধান সম্বিত পাত্র ও রাজ্যের গভর্নর অজয় কুমার ভল্লার গত তিন দিনে তিনবার দেখা করেছেন। তবে এসব বৈঠক নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বিজেপি।
মনিপুরে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ও সহিংসতা চলছে।
সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মাঝে সহিংসতায় অন্তত ২২০ জন নিহত ও আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রাজধানী ইম্ফল উপত্যকায় জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া, বিরোধী দলের পদত্যাগের আহ্বান এবং এনডিএর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের সমর্থন প্রত্যাহারের পর চাপে পড়ে গত রোববার বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।