গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ‘গানওয়ালা’ কবীর সুমন। গতকাল রোববার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন ৭২ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী।
আজ বেলা আড়াইটা নাগাদ তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। হৃৎপিণ্ডে সমস্যার কারণে বাড়িতে অসুস্থ বোধ করেন শিল্পী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সুমনের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে তিনি জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির সময় তার অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০। তাই তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে এবং এই মুহূর্তে তাকে অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
তার কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানান তিনি।
খবরটি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের ঘনিষ্ঠজন মনীষা দাশগুপ্ত। তিনি লেখেন, “কবীর সুমন শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারদের নির্দেশে দেখা করার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।”
স্পষ্ট কথা বলা তার অভ্যাস। এই কারণে নানা সময়ে বিতর্কেও জড়িয়ে যান। কিন্তু এই শহরকে বারবার তার ‘প্রথম সবকিছু’ মনে করিয়ে দেয় সুমনের সুর। তাই তো বাঙালির ‘গানওয়ালা’ তিনি। শিল্পীর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তার অনুরাগীরা। জানা গিয়েছে, সুমন সজাগ রয়েছেন, চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন। তাকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
এর আগেও একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুমন। সেই সময় শিল্পী শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝরাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় সত্তরোর্ধ্ব সঙ্গীতশিল্পীকে। তাকে দেখতে হাসাপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সময় সারা বিশ্বে করোনার দাপট ছিল। ফলে সুমনের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভই আসে। কিন্তু ফুসফুসের নিম্নভাগে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ‘গানওয়ালা’। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এবারও তেমন হোক, আশা অনুরাগীদের।
গত বছরের নভেম্বরে সর্বশেষ ঢাকায় আসেন কবীর সুমন। সেবার চার দিনের বাংলা খেয়াল কর্মশালার জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।