ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় ২৪ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর এক দিনে এটাই ইসরাইলের সর্বোচ্চ সেনা নিহতের ঘটনা।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের জানান, ২১ সেনা এক বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। পৃথক ঘটনায় একই দিন দক্ষিণ গাজায় তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন, যার ফলে মোট নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪।
হাগারি জানান, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা একটি ইসরাইলি ট্যাংকের উদ্দেশে গ্রেনেডযুক্ত রকেট হামলা চালায়। সে সময় কাছের দুই ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং ভবনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থানরত সেনাদের ওপর ধসে পড়ে।
এএফপি জানিয়েছে, এই ভবনগুলোকে ‘হামাসের আস্তানা’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলোকে ধ্বংস করার জন্য বিস্ফোরক পেতে রেখেছিল ইসরাইলি বাহিনী। ট্যাংকটি এই সেনাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়।
“কেন বিস্ফোরণ ঘটল তা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি এবং এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে”, যোগ করেন হাগারি।
এমন সময় এই হামলা এসেছে, যখন ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে জাহাজ, বিমান ও স্থলবাহিনী সমন্বিত আকারে হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা রয়টার্সকে জানান, ইসরাইলি বাহিনী একটি হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি।
কিদরা জানান, রোববার খান ইউনিসে অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ ও আশংকাজনক অবস্থায় থাকা রোগীও নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে খান ইউনিসে অভিযান শুরু হয়। ইসরাইলের দাবি, এখানেই হামাসের সদর দপ্তরের অবস্থান।
সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার ২৯৫ জন ফিলিস্তিনি।
@palabadalnet