গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ধোয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর। ছবি: রয়টার্স
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসকদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে একজন খ্যাতনামা চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা আছেন। শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী টানা আকাশ ও স্থল হামলা চালিয়ে গাজা শহর দখলের চেষ্টা করেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক ভবন, আশ্রয়কেন্দ্র, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু, এমনকি সামরিক নির্দেশে শহর ছাড়তে থাকা একটি ট্রাকেও বোমা হামলা চালিয়েছে।
শনিবার ভোরে গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আবু সালমিয়ার ভাই, ভাবি ও তাদের সন্তান।
আবু সালমিয়া বলেন, “ভাই ও তার স্ত্রীর মরদেহ দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। এখানে সবকিছুই সম্ভব, যেমন সবচেয়ে প্রিয়জনকে শহীদ বা আহত অবস্থায় দেখতে হয়।“
হামাস এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি হলো ডাক্তারদের শহর ছাড়তে বাধ্য করতে সন্ত্রাসী বার্তা।
তারা আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছে এবং আরও ৪০০ জনকে বন্দী করেছে।
আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় গাজা শহর ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রাকে থাকা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে অন্তত চারজন নিহত হন।
এই হামলাটি শহরের নাসর এলাকায় ঘটে।
কেন্দ্রীয় গাজার আজ-জাওয়াইদা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খৌদারি জানান, নিহতরা অবিরাম বিমান হামলা, কামানের গোলা ও ড্রোন হামলা থেকে বাঁচতে শহর ছাড়ছিলেন।
“ইসরায়েলি বাহিনী বিস্ফোরকভর্তি রোবটও ব্যবহার করছে, যা পুরো এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে এবং বড় ধরনের ক্ষতি করছে। এগুলো বিস্ফোরিত হলে মনে হয় যেন ভূমিকম্প হচ্ছে।“
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকরা আটকে পড়া বা আহত ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না।