বিএনপিপন্থী ও সমমনা আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্ট মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: রীতি অনুসারে নতুন প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল সংবর্ধনা দিয়ে থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাসে) এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে ৮ অক্টোবর প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল ও পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সংবর্ধনা জানাবেন।
বিএনপিপন্থী ও সমমনা আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ) প্রধান বিচারপতির এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ইউএলএফের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির অ্যাডহক কমিটিও এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানও। সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের সহ-আহ্বায়ক সুব্রত চৌধুরী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মহসীন রশীদ, প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে ৮ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, রীতি অনুসারে নতুন প্রধান বিচারপতিকে সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল সংবর্ধনা জানান। আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
মোমতাজ উদ্দিন ফকির আরো বলেন, সমিতির অ্যাডহক কমিটি নামে কোনো কমিটির অস্তিত্ব নেই। কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ও দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছেন, যার সঙ্গে সমিতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।