
ফাইল ছবি
সিলেট: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেশের পাশাপাশি বিদেশে থাকা সম্পদেরও বিবরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
দুদকের সিলেট বিভাগের অফিস উদ্বোধন করার সময় আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “দুদক সম্পদের বিবরণী চাচ্ছে। সেখান বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এ সময় দুদকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০০৮ সালে শেখ হাসিনার কৃষি সম্পত্তি ছিল ৫ দশমিক ২১ একর, তবে আমরা অনুসন্ধান করে পাই ২৯ একর। শুরুতে সেই নমিনেশন বাতিল হওয়ার কথা কিন্তু তা বাতিল হয় নাই। দুদক সেটি তদন্ত করে বের করলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি।”
মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, “সৎ লোককে নির্বাচিত করতে হবে। কে কোন দল করে সেটা, বড় ব্যাপার না, দেখতে হবে লোকটা সৎ কী না?”
দুদকের মামলার আসামি হতে পারে, এমন লোককে গ্রহণ করলে বিগত সময়ের মতোই পরিণতি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় দেশি-বিদেশি আয়ের হিসাব দিতে হবে। কেউ গোপন করলে, তা খুঁজে বের করে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দুদক বিচারকারী নয়। দুদকের দায়িত্ব মামলার তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন, বিচারের দায়িত্ব আদালতের।
এ সময় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগ করেন।
পালাবদল/এসএ