ঢাকা: নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে ২-৩ বছর সময় লাগতে পারে বলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন।
তবে, এ সময়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে কিছু সংশোধনী আসবে বলেও জানান তিনি।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাব’ নিয়ে আজ রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেনাইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ করবে। এটা করতে আমার ধারণা ২-৩ বছর লাগতে পারে।”
“এই ২-৩ বছর কি ৭২ এর সংবিধান বহন করব। এই ২-৩ বছর তারা যখন জাতীয় সংসদ হিসেবে কাজ করবে, তখন কিছু ফান্ডামেন্টাল অ্যামেন্ডমেন্ট আসবে। যেমন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, ৭০ অনুচ্ছেদ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা-এই সংক্রান্ত কিছু ফান্ডামেন্টাল জিনিস নিয়ে সমাজে বহু বছর ধরে ঐক্য আছে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন কবে হবে, এজন্য আমি এই ৭২ এর বোঝা কেন বহন করব,” বলেন তিনি।
আলোচনায় জুলাই সনদের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই সনদে কি এতকিছু থাকবে যেটা সংবিধানের ভিত্তি হবে-তাহলে জুলাই সনদ আর হবে কিনা, আমার সন্দেহ আছে। জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন হতে পারে জুলাই সনদে মোস্ট ফান্ডামেন্টাল কিছু জিনিস রাখা সম্ভব হতে পারে।”
সংসদের উচ্চকক্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এত ক্ষমতা যদি উচ্চকক্ষকে দেন, তাহলে উচ্চকক্ষে বিএনপি, জামায়াত ও নাহিদের দল তাদেরকেই নিয়োগ দেবে, যারা দলদাস হবে। উচ্চকক্ষ যদি এত ক্ষমতাশালী হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে একটা মাত্র ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করা যায় চিফ জাস্টিস। রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে চিফ জাস্টিসের অসীম ক্ষমতা। আপনারা শুধু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দেখেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সবচেয়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছে চিফ জাস্টিস।”
“নতুন নতুন অনেক কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা সবসময় যে জিনিসটা বিশ্বাস করি আমরা যখন যেকোনো সংস্কার ভাবনাতে যাই, আমরা সবসময় নতুন নতুন কমিশন করতে হবে। উচ্চ আদালত আর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে যদি ঠিকমতো গঠন করা যায়, ক্ষমতা দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের এত নতুন নতুন কমিশন লাগে না,” বলেন তিনি।