আজ রোববার তিনি বলেন, “সরকারি আদেশ বা গেজেট পাওয়ার পর আমরা বৈঠকে বসব। সরকারি আদেশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”
“সরকারের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট আদেশ পেলে আমরা আইনি দিকগুলো পর্যালোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করব”, বলেন তিনি।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশিত হলে অতি দ্রুত তারা দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আলোচনায় বসবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাইবারস্পেসসহ দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই আন্দোলন দমন ও নৃশংসতার জন্য দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিচারের দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গতকাল এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য- “দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।”
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও সেসময় জানান তিনি।
পালাবদল/এসএ