সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না হবে সেটা তো বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়।
তিনি বলেছেন, এটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলেছে তারা তাদের বক্তব্য বলেছে। কাজেই এখানে আমরা বিএনপি হিসেবে তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক না।
আজ শুক্রবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের মহাসচিব ইতোমধ্যে বলেছেন, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে, কারা করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য। নিজের একটি বক্তব্য যোগ করছি, আপনি (সাংবাদিক) আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না বা তাদের গ্রহণ করা হবে কি, হবে না বা তাদের নিষিদ্ধ করা হবে কি, হবে না।”
তার ভাষ্য, “আমি যদি বলি যে, এ প্রশ্নটা আওয়ামী লীগকে কেন জিজ্ঞাসা করেন না? তারা কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়? তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? সেটা আওয়ামী লীগকে বলতে হবে। নয় মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের একজনও গত ১৫ বছরে মানুষের ওপর জুলুম, লুটপাটের জন্য দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা স্বীকার করেছে, ভুল স্বীকার করেছে? তারা আজকে জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচন করবে, আওয়ামী লীগের একটি লোকও কি এই কথা বলেছে? বলেনি।”
“প্রশ্নটি আসলে আমাদের জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই, এর উত্তর জানে বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ,” বলেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, '“নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে গেলেই যে, অনির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি নিতে হবে, তার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা এরশাদের পতনের সময় দেখেছিলাম, একটি কেয়ারটেকার সরকার এসেছিল। সেটাও কিন্তু আজকের মতো একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা কিন্তু ৯০ দিন যেতে না যেতেই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে উপহার দিয়েছিল।”
“বাংলাদেশের দীর্ঘ ৫৪ বছরের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করে না। কাজেই এটা বুঝতে হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অনির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি নিতে হবে, তার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ বছরের শেষ নাগাদ যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এটা জনগণের জন্য অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে,” যোগ করেন তিনি।
আব্দুল মঈন খান বলেন, “নির্বাচন যত শিগগির হবে বিএনপি বিশ্বাস করে, সেটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
তিনি জানান, “যুক্তরাষ্ট্র দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদের বলেছি, গণতন্ত্র উত্তরণ চাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে। আমরা চাই, এই অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতি থেকে যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারি। যেন দেশের মানুষের সত্যিকারের কল্যাণ হয়।”