কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র ও এক নারীসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হাওরে বজ্রপাতে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলার তিনটি হাওরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন- অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩০) ও খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬০)।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, ইন্দ্রজিত দাস সকাল ১০টার দিকে হালালপুর গ্রামের পাশে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সময় স্বাধীন মিয়া খয়েরপুরের হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান।
মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্পণ বিশ্বাস জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামে বাড়ির পাশে ধান মাড়াইয়ের কাজ করার সময় ফুলেছা বেগম বজ্রপাতে মারা গেছেন।
আমাদের কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।