বেসবল, রাগবি কিংবা আমেরিকান ফুটবল যতটা জনপ্রিয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তার ছিটেফোঁটাও ছিল না ফুটবলের। তবে সাম্প্রতিক সময় চিত্রটা বদলে গিয়েছে আমূল। লিওনেল মেসি যোগ দেওয়ার পর গ্যালারীতে দর্শকদের জায়গা দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। ১০ গুণ দামেও টিকিট কিনতে দ্বিধা বোধ করছেন না সমর্থকরা।
সুলিভানকে এমএলএসের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভা হিসেবে ধরা হয়। তিনি 'মেসি প্লাস টেন' ডকুমেন্টারি সিরিজেও জায়গা পেয়েছেন। তবে তিনি ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে জানিয়েছেন, কীভাবে ক্রীড়াবিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ফুটবলকে নতুনভাবে বদলে দিয়েছেন।
“এটা স্পষ্ট যে স্টেডিয়ামের গ্যালারীগুলো এখন পুরোপুরি বিক্রি হয়ে যায়, টিকিটের চাহিদা বেড়েছে, টেলিভিশনে দর্শকসংখ্যা বেড়েছে-তার বিশ্ব ফুটবলে প্রভাব সত্যিই আকাশচুম্বী। স্পষ্টতই, ফুটবলের প্রতি আগ্রহহীন মানুষও তাকে দেখতে টিকিট কিনছে, এরপর তারাই ফুটবলের ভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি এখানেই আনন্দ পাই, কারণ এই দেশে এটা দেখতে ভালো লাগে।”
সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মেসির এই প্রভাব দেখে আপ্লূত কাভান, যার নানি একজন বাংলাদেশি। চাইলে খেলতে পারেন বাংলাদেশের হয়েও। মেসির 'আকাশচুম্বী' প্রভাবের প্রশংসা করেছেন এবং ইন্টার মায়ামির এই মহাতারকাকে আমেরিকান ভক্তদের দেখানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন যে ফুটবল কতটা 'উল্লাসময়' হতে পারে।
মেসি আসার পর থেকেই দর্শকদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে জানিয়ে আরও বলেন, “গত কয়েক বছরে আমেরিকান ফুটবল অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা জানেন না যে এই খেলা কতটা আনন্দদায়ক ও মনোমুগ্ধকর হতে পারে। তবে মানুষ ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, এটা দেখা বেশ উপভোগ্য।”
আটবারের ব্যালন ডি'অর বিজয়ী মেসি ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখেন। এসেই তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেন, আর তার আগমনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টার মায়ামি ঐতিহাসিক লিগস কাপ জয়ের স্বাদ পায়। পরের বছর সাপোর্টার্স শিল্ডের গৌরব অর্জন করেন, একের পর এক রেকর্ড ভাঙেন এবং মৌসুমে এমএলএসের এমভিপি স্বীকৃতিও লাভ করেন এই আর্জেন্টাইন।
মেসির যুক্তরাষ্ট্রে আসার এক বছর পর ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের হয়ে এমএলএসে অভিষেক হয় কাভানের। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এখন তিনি প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম বৃহৎ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন, যা ১৮ বছর পূর্ণ হলে সম্পন্ন হবে।