শুক্রবার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন এবং এরপরই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় বলেও তিনি জানান।
আজ শুক্রবার সকালে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী দেবীদ্বার উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন দলটির নায়েবে আমির। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চায়, এপ্রিলে হলেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হতে পারে, তার পরেই জাতীয় নির্বাচন।”
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামীতে প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন, তিনি জীবনে দুইবারের বেশি হতে পারবেন না। এ প্রস্তাবে এ দেশের অধিকাংশ দল একমত হয়েছে, শুধু বিএনপি ছাড়া। এটা সব দল মানলেও বিএনপি মানে না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী রোববারের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, “সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে যেখানে একদলের নমিনেশনে এমপি হলে, তার ভিন্ন কোনো মত দেওয়ার সুযোগ ছিল না, এবার আমরা জামায়াতের পক্ষে একটা নতুন প্রস্তাব এনেছি-সংবিধান সংশোধন, অনাস্থা প্রস্তাব এবং বাজেট-এ তিনটার বাইরে আর যেকোনো বিষয়ে একটি দলের এমপি দলের মতের বিরুদ্ধে মত দিতে পারবেন।”
জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলার সহকারী সেক্রেটারি লোকমান হাকিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারি রুহুল আমিন খান ও পৌর আমির ফেরদৌস আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আবদুল মতিন ও সেক্রেটারি মো. সাইফুল ইসলাম (শহীদ)।
সমাবেশের শুরুতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মো. সাইফুল ইসলামের (শহীদ) নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া দেবীদ্বার পৌরসভার মেয়র পদে লোকমান হাকিমের নামসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।