অভিযুক্তরা হলেন-তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (২৮)।
আজ শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিন রেজা এ আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে হাজির হননি। তবে এই তিনজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতকে জানান, হয়রানি করার জন্য তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তারা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করার আপিল করেন। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের ছয়দিন করে রিমান্ড দেন।
এর আগে গত ১৪ মে তাদের ঢাকার অন্য একটি আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত সাম্য ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
সাম্যর মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাফি জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা সাম্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন এবং স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
রাফি জানান, গত ১৩ মে রাত পৌনে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাম্য মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এর সূত্র ধরেই অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার ডান উরুতে ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে সাম্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পালাবদল/এসএফ