ঢাকা: অবৈধ উপায়ে দেড় কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ৯৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেককে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে একমাত্র আসামি মালেক উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে বিচারক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই অপরাধের জন্য তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন আদালত।
অবৈধভাবে অর্জিত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দুদক ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালেক ৯৩ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে দুদকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সম্পদের বিবরণী জমা দেন। এছাড়া, তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ দেড় কোটি টাকার বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায়, মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার সম্পদ নার্গিসের নামে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালেককে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করে।
র্যাব দাবি করে, মালেকের ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে।
পরে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং জাল নোট রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় মালেককে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।