ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু তালেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফারনাজ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারলারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) এখনো পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডির এই পারলারে সেবা নেওয়া অনেক নারীর ভিডিও গোপন ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারে (ডিভিআর) পাওয়া গেছে। বেআইনি পন্থায় এসব ভিডিও ধারণ, সংরক্ষণ করা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তারা ছয় মাস আগে পারলারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। কোনো ভিডিও ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।
ভুক্তভোগী এক নারীর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত পারলারটিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন, পারলারের মহাব্যবস্থাপক তসলিম আরিফ ওরফে ইলিয়াস (৫২), প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ইমাদুল হাসান (৫৩) ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক এম এইচ জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পারলারটি থেকে গোপন ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে পারলারে সেবা নিতে আসা নারীদের আপত্তিকর-স্পর্শকাতর ভিডিও অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ-সংরক্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
পালাবদল/এসএ