ঢাকা: ২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শয়িয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে। মূলত গ্রাহক বৃদ্ধি ও ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফেরায় শরিয়াহ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে।
জুন শেষে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়, যা তিন মাস আগের ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা থেকে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছর আগের তুলনায় আমানতের পরিমাণ ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
মোট আমানতের মধ্যে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আর প্রচলিত ব্যাংকের ইসলামি শাখাগুলোর আমানত ২৫ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা এবং ইসলামি উইন্ডোতে আমানতের পরিমাণ ৩৪ হাজার ৮৩ কোটি টাকা।
এই ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক পুরো আমানতের ৮৭ শতাংশের যোগান দিয়েছে, যেখানে শাখা ও উইন্ডোগুলোর অংশ যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ নিয়ে টানা তৃতীয় প্রান্তিক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো আমানত বেড়েছে। এর আগে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রাহকদের আস্থা কমায় জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমানত নেমে গিয়েছিল ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকায়।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দুর্বল ইসলামি ব্যাংকগুলোকে সচল রাখতে বিভিন্ন উইন্ডোর মাধ্যমে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, গত বছরের ক্ষমতার পরিবর্তনের পর জনগণের আস্থা ফেরাতে বড় ইসলামি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুনভাবে গঠন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আশা করা হচ্ছে, এসব বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ ইসলামি ব্যাংকগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাবে এবং এই খাতের ভিত্তির আরও শক্তিশালী করবে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুন শেষে মোট আমানত হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯ লাখ, যা মার্চে ছিল ৩ কোটি ৬ লাখ।
তবে, এ সময়ে বিনিয়োগ হিসাবের সংখ্যা সামান্য কমেছে।
জুন মাস শেষে ইসলামি ব্যাংকগুলো গোটা ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং বিনিয়োগের ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশের যোগান দিয়েছে।