আজ রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এই সময়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ জরুরি নাগরিক সেবা চালু থাকবে। উন্নয়নকাজসহ বাকি সব সেবা বন্ধ থাকবে।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এসে এসব কথা বলেন ইশরাক।
ইশরাক বলেন, “প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না, এটা আন্দোলনের একটা প্রতীক। জনগণের দৈনন্দিন সেবা, আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে।”
নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখে কীভাবে জরুরি নাগরিক সেবা চালু রাখা হবে-তা ইশরাক স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, ‘জন্মনিবন্ধন সনদসহ দৈনন্দিন জরুরি সেবা চালু থাকবে। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা কর্মকর্তারা অফিস করতে পারবেন না।”
মেয়র পদে বসানোর বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইশরাক। তিনি বলেন, “আমরা গায়ের জোরে নয়, সাংবিধানিকভাবে ও জনগণের ভোটে আমি বৈধ মেয়র। বরং ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠবে। তাই সরকারকে বলব, দ্রুত এই বিষয়ের সমাধান করুন।”
মেয়র পদে বসানোর বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে বিরতিহীনভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান ইশরাক।
আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নগর ভবনের নিচতলার শীতলক্ষ্যা সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ইশরাক। জরুরি নাগরিক সেবা কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, সেই বিষয়টি সুরাহা করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এই বৈঠক করছেন বলে ইশরাকের ঘনিষ্ঠজনেরা জানান।
ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত ১৪ মে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন শুরু করেন তাঁর সমর্থকেরা। ঈদের আগে বিরতি দিয়ে ১৮ দিন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
ঈদের ছুটি শেষে আজ প্রথম কর্মদিবসে ইশরাকের সমর্থকেরা আবার নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করলেন। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ইশরাক।
আন্দোলনের কারণে আজও নগর ভবন থেকে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। মূল ফটকসহ নগর ভবনের মূল ভবনে প্রবেশের সব ফটকে এখনো তালা ঝুলছে।