সোমবার ২ জুন ২০২৫ ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সোমবার ২ জুন ২০২৫
 
বিদেশ
ইরানের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে ‘তর্কাতর্কি’ নেতানিয়াহুর!





পালাবদল ডেস্ক
Thursday, 29 May, 2025
4:32 PM
 @palabadalnet

আমেরিকা ও ইসরাইলের সম্পর্কে চিড়? ইরানকে নিয়ে দুই ‘বন্ধু’র মধ্যে ঝগড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। শেষ পর্যন্ত তাদের ‘দোস্তি’ ভেঙে গেলে পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার সংজ্ঞা যে পুরোপুরি পাল্টে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। শুধু তা-ই নয়, সে ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ইহুদিভূমির অস্তিত্ব। পাশাপাশি, সেখানে যুদ্ধের গতি তীব্র হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

চলতি বছরের ২২ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইহুদি সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল-১২’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সময় নজিরবিহীন ভাবে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দ্বিধা করেননি নেতানিয়াহু। অন্য দিকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তাকে হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে জটিলতা দেখা গিয়েছে।

এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে নেতানিয়াহুর দফতর। সেখানে অবশ্য দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে ইসরাইল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা বর্জন করে, তা নিয়ে দু’তরফে আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিতে একমত হয়েছেন তারা। যদিও এর কয়েক দিনের মাথায় ট্রাম্পের ঘোষণায় দানা বেঁধেছে সন্দেহ।

গত ২৫ মে ইরানের ব্যাপারে খুব দ্রুত ‘সুসংবাদ’ আসবে বলে ইঙ্গিত দেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। এর ফলে ইসরাইলের রক্তচাপ যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়া থেকেই পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে চাপে রেখেছে আমেরিকা। এই ইস্যুতে দু’তরফে বেশ কয়েক বার বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। যদিও তাতে সমাধানসূত্র যে পাওয়া গিয়েছে এমনটা নয়।

গত ২৬ মে এ ব্যাপারে মুখ খোলে তেহরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তবে আপাতত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে না। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আণবিক বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ইরান। পারস্য উপসাগরের শিয়া মুলুকটি ওই মারণাস্ত্র তৈরি করে ফেললে বিপদ বাড়বে ইহুদি রাষ্ট্রের। কারণ, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলের অস্তিত্ব মেনে নিতে নারাজ তেহরান। সেই কারণেই ট্রাম্পের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে নেতানিয়াহুর।

সূত্রের খবর, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে ইহুদি ফৌজ। তেহরানের আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভান্ডার এবং গবেষণাগারগুলিকে নিশানা করার পরিকল্পনা ছিল ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের। এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। কিন্তু, হঠাৎ করেই এ ব্যাপারে বাদ সাধেন ট্রাম্প। ‘প্রিয় বন্ধু’কে নাকি যুদ্ধের রাস্তা থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ, শিয়া মুলুকটির সঙ্গে দ্রুত পরমাণু চুক্তি সেরে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় থেকে ইরান ও আমেরিকার সম্পর্কে তৈরি হয় জটিলতা। ওই সময়ে ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’ বা আইএইএর (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি) নজরদারিতে আণবিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল তেহরান। কিন্তু, ট্রাম্পের প্রথম বারের শাসনকালে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায়। ইরানের বিরুদ্ধে ওঠে গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ। ফলে পারস্য উপসাগরের তীরের দেশটির উপর বিপুল নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন। এতে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের অর্থনীতি।

২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরানের মধ্যে শত্রুতা বাড়তে শুরু করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা মনে করেন এতে সুবিধা পায় ইসরাইল। তেহরানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইহুদি দেশটির হাতে অত্যাধুনিক হাতিয়ার তুলে দিতে পিছপা হয়নি ওয়াশিংটন। প্যালেস্তাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুথি, এমনকি ইরানের বিরুদ্ধে সেগুলি যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করেছে আইডিএফ। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প দ্বিতীয় বার কুর্সি পাওয়ার পর আবার অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে পরিস্থিতি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তেহরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি করতে চাইছেন, তার মূলে রয়েছে দু’টি কথা। কোনো অবস্থাতেই আণবিক বোমা তৈরি করতে পারবে না ইরান। তবে ৩.৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের অনুমতি পাবে পারস্য উপসাগরের শিয়া মুলুক। এর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালাতে পারে তারা। আর এইখানেই প্রবল আপত্তি রয়েছে ইসরাইলের। কারণ, ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ এখনই করতে পারে তেহরান।

নেতানিয়াহু সরকারের যুক্তি, আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়ে গেলে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিতে ওয়াশিংটনকে চাপ দেবে ইরান। সে ক্ষেত্রে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করার মেগা সুযোগ চলে আসবে তেহরানের হাতে। ফলে পরমাণু হাতিয়ার তৈরির ক্ষেত্রে অর্থের অভাব হবে না তাদের। তখন গোপনে এই মারণাস্ত্র তৈরি করা মোটেই কঠিন হবে না শিয়া গবেষকদের পক্ষে। সেই কারণে আগেভাগে ইরানের যাবতীয় পরমাণুক্ষেত্র ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইহুদি ফৌজ।

পশ্চিম এশিয়ার প্যালেস্টাইনপন্থী গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথিদের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পর্দার আড়ালে থেকে দীর্ঘ দিন ধরে সাহায্য করে আসছে ইরান। নেতানিয়াহু সরকার মনে করে, পরমাণু বোমা তৈরি হয়ে গেলে তাদের হাতে ওই মারণাস্ত্র তুলে দিতে পারে তেহরান। তা ছাড়া এর মাধ্যমে সরাসরি তেলআবিবকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা পাবে ইরানের ‘ইসলামিক রিপাবলিক গার্ড কোর’ বা আইআরজিসি।

দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হয়ে চলতি বছরের মে মাসে পশ্চিম এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন ট্রাম্প। সেগুলি হলো, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরব মুলুকের এই তিনটি রাষ্ট্রের সঙ্গেই বিপুল অঙ্কের সমরাস্ত্র চুক্তি সেরে ফেলেছেন তিনি। এতে একেবারেই খুশি হয়নি ইসরাইল। নেতানিয়াহুর আশঙ্কা, এতে আরব দুনিয়ায় অশান্তি কয়েক গুণ বাড়তে পারে। কারণ, এখনও পর্যন্ত ইসরাইলকে স্বীকৃতিই দেয়নি রিয়াদ। তা ছাড়া আরবের ইসলামীয় দেশগুলি ঐতিহ্যগত ভাবে ইহুদিদের শত্রু বলে মনে করে।

পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ অল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। তার সঙ্গে করমর্দন করতেও দেখা গিয়েছে তাকে। দামেস্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ করেন শারা। তার আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ট্রাম্প। এরপর দেশে ফিরেই শারাকে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেন তিনি। দামাস্কাসের উপর থেকে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এ হেন পদক্ষেপে চটেছেন নেতানিয়াহু, খবর সূত্রের।

আসাদকে সরিয়ে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। ওই সময়ে বাধ্য হয়ে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন আসাদ। বাশার সরতেই আহমেদ আল-শারাকে ক্ষমতায় বসান বিদ্রোহীরা।

সিরিয়ার এই পালাবদলে প্রমাদ গোনে ইসরাইল। বিদ্রোহীদের হাতে দামাস্কাসের পতন হতেই সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির (পড়ুন গোলান হাইট্স) বাফার এলাকা পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশটির জমি কব্জা করার নির্দেশ দেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত পাঁচ মাসে সেখানে একাধিক বার বিমানহানা চালিয়েছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। চলতি বছরের মে মাসের গোড়াতেই দামেস্কের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তারা।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা ছিলেন আল-কায়দার নেতা। পরে অবশ্য সংগঠনটি ছেড়ে দিয়ে দামেস্কের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার মাথার দাম কয়েক কোটি ডলার ধার্য করেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি’ বা সিআইএ। এ হেন শারার সঙ্গে ট্রাম্পের মাখামাখি নিয়ে তাই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাবি, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন তিনি। অন্য দিকে সিরিয়ার উপর থাকা পাহাড়প্রমাণ ঋণ সম্প্রতি পরিশোধ করেছে সৌদি আরব ও কাতার। পরমাণু চুক্তির ক্ষেত্রে ইসরাইলের উপর চাপ বৃদ্ধির শর্ত দিয়েছে ইরান। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই সমস্ত ঘটনার জেরেই ট্রাম্পের উপর বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারান নেতানিয়াহু।

গত শতাব্দীর ৬০ এবং ৭০-এর দশকে একাধিক বার ইসরাইল আক্রমণ করে সিরিয়া। প্রতিবারই অবশ্য পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় দামেস্ককে। এর পর সেখানে ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধ বেধে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল আইডিএফ। কিন্তু, ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় ইহুদিদের রক্তচাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আবহে গত ২১ মে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে খুন হন ইসরাইলি দূতাবাসের দুই কর্মী। ফলে আমেরিকার সঙ্গে ইহুদিভূমির সম্পর্ক আর সোজা পথে চলছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্যালেস্তাইনের গাজায় নতুন শহর তৈরির কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ফলে হামাস নিধনের নামে সেখানে ব্যাপক গণহত্যা চালানোর সুযোগ পেয়ে যান নেতানিয়াহু। গাজায় কোনো মানবিক সাহায্যও ঢুকতে দেননি তিনি। ফলে অনাহারে বহু প্যালেস্তাইনবাসীর মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। সব জেনেও এত দিন চোখ বন্ধ করেছিল আমেরিকা। সম্পর্কে চিড় ধরলে এই নিয়ে ওয়াশিংটন সুর চড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সম্পর্কে ফাটল ধরা বেশ কঠিন। কারণ, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ‘বন্ধু’ হলো ইহুদিরা। মার্কিন রাজনীতিতে তাদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লাভের জন্য ট্রাম্প ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবেন, তা মনে করা কঠিন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করতে হলে অবশ্যই নেতানিয়াহুকে সন্তুষ্ট করতে হবে তাকে। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।

পালাবদল/এসএ


  সর্বশেষ খবর  
  সবচেয়ে বেশি পঠিত  
  এই বিভাগের আরো খবর  


Copyright © 2025
All rights reserved
সম্পাদক : সরদার ফরিদ আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : জিয়াউর রহমান নাজিম
ফোন : +৮৮-০১৮৫২-০২১৫৩২, ই-মেইল : palabadal2018@gmail.com