আইপিএলের লড়াইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মিচেল স্টার্কের দাপটের প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও প্রত্যাশা মতো রান করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদ। ১৮.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ১৬৩ রান করে তারা। জবাবে ১৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান দিল্লির।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত কাজে এলো না। হায়দরাবাদের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপে রোববার দু’বার ধস নামালেন কামিন্সেরই দেশজ সতীর্থ মিচেল স্টার্ক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছেড়ে দেওয়া জোরে বোলারের দাপটে ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় কামিন্সের দল। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে কোণঠাসা করে দিলেন স্টার্ক।
তবু হায়দরাবাদ লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছায় অনিকেত বর্মার ইনিংসের সুবাদে। ৪১ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। মূলত একাই ব্যাট হাতে লড়াই করেন দলের হয়ে। অভিষেক শর্মা (১), ট্রেভিস হেড (২২), ঈশান কিশন (২), নীতীশ কুমার রেড্ডি (শূন্য) পর পর আউট হয়ে যান। অভিষেক রান আউট হলেও বাকি তিন জনকেই সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। অভিষেকের রান আউটের ক্ষেত্রেও তার অবদান ছিল। ৪.১ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। সেই অবস্থায় অনিকেতের সঙ্গে দলের ইনিংসের হাল ধরেন হেনরিক ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার করেন ১৯ বলে ৩২। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তারা তোলেন ৭৭ রান। মোহিত শর্মার বলে ক্লাসেন আউট হওয়ার পর আবার চাপ তৈরি হয় হায়দরাবাদ ইনিংসে। পর পর ফিরে যান অভিনব মনোহর (৪) এবং কামিন্স (২)।
১২৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও অনিকেত ২২ গজের এক দিক আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করেন কুলদীপ যাদব। ৪১ বলের ইনিংসে ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কা মারেন অনিকেত। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা উইয়ান মুলডার (৯), হর্ষল পটেলরাও (৫) ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারলেন না। তাদেরও আউট করলেন স্টার্ক। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ শামি। স্টার্ক ছাড়া ভাল বল করলেন কুলদীপও। ২২ রানে ৩ উইকেট তার। ২৫ রানে ১ উইকেট মোহিতের।
জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজেই জয়ের দরজায় পৌঁছে গেল দিল্লি। দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং ফ্যাফ ডুপ্লেসি আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন। ম্যাকগার্ক ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৩৮ রান করেন। ডুপ্লেসি ৩টি করে চার এবং ছক্কা মারেন। দিল্লির সহ-অধিনায়ক করেন ২৭ বলে ৫০। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন এ বারের আইপিএলে প্রথম খেলতে নামা লোকেশ রাহুল। ৫ বলে তার অবদান ১৫। এর পর দলকে অনায়াসে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিতে সমস্যা হয়নি অভিষেক পোড়েল এবং ট্রিস্টান স্টাবসের। বাংলার তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারও সুযোগ কাজে লাগালেন ভাল ভাবে। ১৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মারলেন ২টি চার এবং ২টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে ২২ গজে থাকা স্টাবস করলেন ১৪ বলে ২১।
হায়দরাবাদের ব্যর্থতার দিনেও নজর কাড়লেন জিশান আনসারি। উত্তরপ্রদেশের ২৫ বছরের লেগ স্পিনার ৪২ রানে ৩ উইকেট নিলেন। দিল্লির তিনটি উইকেটই তার। কামিন্সের দলের আর কোনো বোলার উইকেট পেলেন না। উইকেট না পেলেও ভালো বল করলেন হর্ষল। ৩ ওভারে ১৭ রান দিলেন তিনি।