আপাতত নির্বাচন কমিশনের কাছেই জাতীয় পরিচয়পত্র। ফাইল ছবি
ঢাকা: আপাতত নির্বাচন কমিশনের কাছেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি সেবা কার্যক্রম। তবে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও ভবিষ্যতে স্বাধীন ডেটা অথরিটির কাছেই যাবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি ভবনে ‘এনআইডির ওনারশিপ’ শীর্ষক এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, কমিশনের অধীনে ৩৫ ধরনের তথ্য আছে, তারও বেশি আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার ইমপ্লিমেন্টেশন করার জন্য ৩৫ ধরনের তথ্যের প্রয়োজন আছে কি? এই প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে এবং কারিগরিভাবে উপস্থাপন হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি। আমরা বলছি না যে নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে সেটাকে বন্ধ করে দেব, এর যে সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে, সেটা আমরা নিয়ে নেব।”
তিনি বলেন, “আমরা যেটা বলছি, ডেটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে, যার কাছে যা আছে, তা আপাতত সেখানেই থাকবে। একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার, যখন এসব পুরোনো হবে, তখন একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যা যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এটা কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাবে না। এখনি যে সরিয়ে ফেলতে হবে সেটাও আমরা বলছি না, আমরা বলছি কর্মক্ষমতা আরো ভালো করতে চাচ্ছি।”