আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার বাস্তব অগ্রগতি নেই-মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “সংস্কারের আলোচনা ও প্রক্রিয়া চললেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “এখনো ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এখনো বৈষম্য ও শোষণ-বঞ্চনা চলছেই।”
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসা জটিলতার সমাধান, বেকার ক্যাডেট ও রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিতকরণ এবং ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেরিনারদের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চাই-এখনো ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের আস্তানা ধ্বংস করতে না পারলে ক্ষমতায় আছেন কেন? এসব অব্যাহত থাকলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্ত ও তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবমাননা।”
মেরিনারদের পাঁচ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন তিনি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর পাশাপাশি সম্মানও বয়ে আনেন। দেশের মানুষের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মেরিনারদের দাবি পূরণ করতে পারে।”
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটির মুখ্য সংগঠক ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার। আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, মেরিন ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম জিলানী, রইচ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, বজলুল রহমান, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ, চিফ অফিসার কায়কোবাদসহ অনেকে।
তারা বলেন, বেকার মেরিন ক্যাডেট ও রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিত করতে দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে ক্যাডেট ও ফ্রেস রেটিং দ্বিগুণ করা হোক। ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ভিসা সমস্যার সমাধান ও বিদেশি চাকরির বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়াতে হবে। নাবিক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব ধরনের অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে হবে। ভেনিজুয়েলাতে বন্দি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানকে অতিদ্রুত মুক্ত করে আনতে হবে।