ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার গোটা শিক্ষকসমাজকে অপমান করার শামিল বলে মনে করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। শিক্ষকদের এই সংগঠন এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ বি এম জাকারিয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল আবদুস সবুর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের বিবৃতিতে বলা হয়, এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ভার অন্তর্বর্তী সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে হাসিনা সরকার ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করলেও একই পরিপত্রে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকেও জাতীয়করণ করা হয়নি৷
প্রায় এক সপ্তাহ শিক্ষকেরা প্রেসক্লাবে অবস্থান করলেও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমঝোতার চেষ্টা করলেন না কেন, এই প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। তারা বলেছে, সাত দিনের মাথায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করা হলে সেখানে হামলা চালানো হলো। নারী শিক্ষকও পুলিশের হামলা থেকে রেহাই পাননি। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করে ৪০ বছরের বৈষম্য দূরীভূত করা। প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ থানার সামনে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে। এতে এক নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।