ঢাকা: নিজেদের আওতাধীন এলাকায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, গতকাল শনিবার রাতের মধ্যেই তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে (স্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র) নিতে রাস্তায় ও এসটিএসে (সেকেন্ডারি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র) জমা করে রেখেছিলেন। সকালে জমা রাখা এসব বর্জ্য ল্যান্ডফিলে নেওয়ার আগেই সেসব ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্জ্য শতভাগ অপসারণ হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। রাতে ডিএনসিসি এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে জানানোর পরও সরেজমিন পরিদর্শনে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা উত্তর সিটি জানায়, রাত ১০টা৩৫ মিনিটের (শনিবার রাত) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে কোরবানির ঈদের প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও নগরীর অনেক স্থানে পশু কোরবানি করা হয়েছে। পশু কোরবানির স্থান থেকে নতুনভাবে উৎপন্ন বর্জ্য ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাতের মধ্যেই সরিয়ে এনে ল্যান্ডফিলে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে রাস্তায় ও এসটিএসে জমা রাখেন।
এতে বলা হয়, সকালে এসটিএস এবং রাস্তা থেকে বর্জ্য অপসারণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই কিছু স্থানের বর্জ্যের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি জানিয়েছে, বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়নি। আজ এবং আগামীকালও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পবিত্র ঈদুল আজহায় নগরবাসী ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। যার কারণে প্রতিনিয়ত নগরীতে বর্জ্য উৎপন্ন হয়। একই সঙ্গে চলতে থাকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ডিএনসিসির ১০ হাজারের বেশি কর্মী এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঘোষিত সময়ের পূর্বেই ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকা থেকে সম্পূর্ণ বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর শহর উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।