লালমনিরহাট: শহরের বিডিআর রোডে শিশু পার্কের পাশে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চের ঢেকে রাখা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
রোববার দুপুর থেকে বিকেল পযর্ন্ত দুজন শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারকে থাকা বঙ্গবন্ধুর তিনটি ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলেন।
শ্রমিকরা জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা ম্যুরাল ভাঙছেন।
তবে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভিন্ন কথা।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারকটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে তৈরি হয়েছিল। এতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকার গঠন, চরমপত্র পাঠ, উদিত সূর্য, ৭১-এর গণহত্যা, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী, বিজয়ে উল্লাসে মুক্তিযোদ্ধারা, পতাকা হাতে হাতে বিজয়ে উচ্ছ্বসিত জনতা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্মৃতির ম্যুরাল রয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলা ইউনিটের সদস্য সচিব হামিদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণের দাবি জানান। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারকে ম্যুরাল তৈরিতে বৈষম্য করা হয়েছে। এই স্মৃতিস্মারকে স্বৈরাচারের ম্যুরাল থাকতে পারে না।”
তবে, ম্যুরাল ভাঙার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। সেখানে ছিলেন না জেলা পরিষদের কোনো প্রতিনিধি।
জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রাজীব আহসান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারকে ম্যুরাল ভেঙে ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই।”