১০০ জনের বেশি লোকের একটি দল গুলশানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে ‘তল্লাশির নামে তছনছ-ভাঙচুরের’ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১০০ জনের বেশি লোকের একটি দল ওই বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের দাবি, বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের। তবে প্রেস উইং জানায়, বাড়িটি এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের প্রাক্তন স্ত্রীর।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান জানান, বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল মান্নান একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান জানান, বাড়িটি এইচটি ইমাম বা তার ছেলের নয়। বাড়ির মালিকের মেয়ের সঙ্গে তানভীরের প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রচারিত বাড়িতে হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে একদল লোক ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং তারা জানান যে, ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও নগদ অর্থ লুকানো আছে এবং আন্দোলন চলাকালে হত্যায় সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সেখানে লুকিয়ে আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা ওই ভবনে ‘তল্লাশি’ চালায়।
এরপর তারা ঘরের আলমারি, জুতার বাক্স, লকার, ট্রলি ব্যাগ এবং বিছানা তছনছ করে এবং ঘরের প্রতিটি অংশে তল্লাশি চালায়। পুরো সময় টিভি চ্যানেলগুলি সরাসরি সম্প্রচার করে।
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান জোনের ডিসি, গুলশান থানার ওসিসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান।
সেসময় তিনজনকে আটক করা হয় ও তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটককৃতরা হলেন, শাকিল খন্দকার (২৪), জুয়েল খন্দকার ( ৪৮) এবং শাকিল আহমেদ (২৮)। জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকার সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। তিনি লোকজনকে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে তথ্য দিয়ে বাড়িটিতে তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।
এর আগে, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।