এইতো গত সপ্তাহেই ৪০ বছরে পা রেখেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এমন একটি বয়স যেখানে বেশিরভাগ ক্রীড়াবিদ অনেক আগেই তাদের বুট, র্যাকেট বা গ্লাভস তুলে রেখেছেন। কিন্তু রোনালদো ব্যতিক্রম। গত বছরও রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন এবং প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
এই অনন্য অর্জনের সঙ্গে আরেকটি নতুন অর্জন যোগ হয়েছে রোনালদোর ঝুলিতে। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে তার আয় ছিল ২৬০ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসর থেকে এসেছে ২১৫ মিলিয়ন ডলার, আর বাকি ৪৫ মিলিয়ন ডলার এসেছে মাঠের বাইরের আয় থেকে।
টানা আট বছর ধরে রোনালদোর বার্ষিক আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি, আর ২০২৪ সালে এটি ২০০ মিলিয়নেরও বেশি হয়েছে। তার ক্যারিয়ারের মোট আয় এখন ১.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা তিনি ২০০২ সালে স্পোর্টিং সিপি-তে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে অর্জন করেছেন। নাইকি, হার্বালাইফ, অল্টিস ও বিন্যান্সের মতো ১২টি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেন তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদদের বেশিরভাগই ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে। ২০২৪ সালে শীর্ষ আটজনের মধ্যে ৩৩ বছর বয়সী নেইমারই একমাত্র খেলোয়াড়, যার বয়স ৩৬-এর নিচে। রোনালদোর পর আছে এনবিএ তারকা স্টিফেন কারি। তার আয় ১৫৩.৮ মিলিয়ন ডলার। বক্সার টাইসন ফিউরি আছেন তিন নম্বরে। ১৪৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন গত বছর।
রোনালদোর দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি আছেন চতুর্থ স্থানে। গত বছরে তার আয় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার। সৌদিতে না খেললেও দেশটির পর্যটন বোর্ডের কাছ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি পেয়েছেন তিনি।
এরপর বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমসের আয় ১৩৩.২ মিলিয়ন ডলার। সদ্যই সৌদি আরব ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যোগ দেওয়া নেইমারের আয় ১৩৩ মিলিয়ন ইউরো। আছেন ছয় নম্বরে। সেরা দশে আছেন আরও দুই ফুটবলার করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপে। সবমিলিয়ে সেরা দশের তালিকায় তাই পাঁচ জনই ফুটবলার।
২০২৪ সালে শীর্ষ ১০০ ক্রীড়াবিদের মোট আয় ৬.২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪% বেশি। শীর্ষ ১০০ ক্রীড়াবিদের মধ্যে ৪.৮ বিলিয়ন ডলার এসেছে বেতন, বোনাস ও পুরস্কার অর্থ থেকে এবং ১.৪ বিলিয়ন ডলার এসেছে ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ ও অন্যান্য উৎস থেকে। সেরা ১০০ এর তালিকায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোনো নারী ক্রীড়াবিদ জায়গা পাননি।