বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৩ চৈত্র ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
 
মিডিয়া
জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় মাহমুদুর রহমান খালাস





নিজস্ব প্রতিবেদক
Monday, 10 February, 2025
3:02 PM
 @palabadalnet

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ তারেক এজাজ আদালত কক্ষে মাহমুদুরের উপস্থিতিতে আজ খালাসের আদেশ দেন।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুরের দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে আদালত এই রায় দেন।

রায়ের পর মাহমুদুর সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন না হলে আমি আজ এ মামলা থেকে খালাস পেতাম না। সোমবার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের আমলে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগের এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে যে হাস্যকর ভুয়া মামলা দায়ের করা হয়েছিল, এ মামলা তো জজের প্রথম দিনই ছুড়ে ফেলা উচিত ছিল। আমি শেখ হাসিনার পুত্র জয়কে আমেরিকায় নাকি কিডনাপের চেষ্টা করেছি। এটা কোথায় বসে করেছি, জেলাখানায় বসে করেছি। এ মামলার বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক ছিল না। আমি জানতামই না। হাসিনা এ মামলা দিয়েছিল আমাকে দীর্ঘদিন জেলে রাখার জন্য।

মাহমুদুর রহমান বলেন, যে দেশে আইন আছে, বিচার আছে, গণতন্ত্র আছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে সে দেশে প্রথমই এ মামলা রিজেক্ট হয়ে যেতো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, তাই আমি বিদেশ থেকে এসে স্যারেন্ডার করেছি। আদালতে মামলা করে আজকে আমি রায় পেয়েছি। আমাকে আদালত মামলায় খালাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি আশা করবো শুধু বর্তমান সরকার নয়, ভবিষ্যতে যারা গণতান্ত্রিকভাবে সরকারে আসবে তারাও যেন বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ না করে। বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন থাকে। এখানে যারা জজ নিয়োগ পাবেন, তাদের যেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়- এটাই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা।

যে বিচারক এ মামলার রায় দিয়েছেন, সে বিচারক কতটা বায়েস্ট ছিলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন বলেন, একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থায় আমরা কেউই সেইফ ছিলাম না, একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কীভাবে আইনকে ব্যবহার করে, আদালতকে ব্যবহার করে, তার সম্মানিত নাগরিকদের হেনস্তা করার জন্য জেলে ভরে রাখার জন্য চেষ্টা করে, তার নিকৃষ্টতম উদাহরণ হলো এই মামলা।

তিনি বলেন, এ মামলায় সত্যের বিন্দুমাত্র কিছু ছিল না। সাক্ষী ছিল না, এভিডেন্স ছিল না। আইনেরও তোয়াক্কা করতে হয় নাই। এভিডেন্স ছাড়া যে সাজা দেয়া যায়, এ মামলায় তা আমরা দেখেছি। আমরা বলেছি এ মামলা করা থেকে শুরু করে সাজা দেয়া পর্যন্ত যারা জড়িত ছিল, তাদের বলতে হবে কী চাপে পড়ে তারা এই ধরনের একটা বেআইনি রায় দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আইনের মাধম্যে আমরা মাহমুদুর রহমানকে খালাস করতে পেরেছি। তাকে মুক্ত করতে পেরেছি। এই রায়ের মধ্য দিয়ে যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।

পালাবদল/এসএ


  সর্বশেষ খবর  
  সবচেয়ে বেশি পঠিত  
  এই বিভাগের আরো খবর  


Copyright © 2024
All rights reserved
সম্পাদক : সরদার ফরিদ আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : জিয়াউর রহমান নাজিম
ফোন : +৮৮-০১৮৫২-০২১৫৩২, ই-মেইল : palabadal2018@gmail.com