ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কারের ভিত্তিতে হতে হবে। এ জন্য নির্বাচনের আগেই সংস্কার হতে হবে, নির্বাচনের পর নয়, এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, “যে টাইম ফ্রেমের (সময়সূচি) মধ্যে আপনারা নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি তখনই করেন, কিন্তু সংস্কারটা আগেই হতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সারোয়ার তুষার এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে এনসিপির সংস্কার সমন্বয় কমিটি।
আলোচনা সভায় সারোয়ার তুষার দাবি করেন, অতীতে সংবিধানে যে বড় বড় সংশোধন করা হয়েছে, তা এক ব্যক্তির ইচ্ছায় হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। তিনি বলেন, “এই যে নিজের ইচ্ছা হলেই সমস্ত রাষ্ট্রের পুরো ক্যারেক্টার (প্রকৃতি/চরিত্র) বদলে দিতে পারা, এটা আটকাতে হবে। এ জন্যই আমরা বলছি, গণতান্ত্রিক সংস্কারটা এখনই হতে হবে।”
এনসিপি সংস্কার চাওয়ায় কোনো কোনো রাজনেতিক দল অযৌক্তিকভাবে সেটার বিরোধিতা করছে বলেও মন্তব্য করেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, “সংস্কারটা এনসিপির কোনো এজেন্ডা নয়, এটা ন্যাশনাল এজেন্ডা (জাতীয় বিষয়)।”
সংস্কার চাইলে এক-এগারোর ভয় দেখানো হচ্ছে উল্লেখ করে সারোয়ার তুষার বলেন, এক-এগারো ঘটেছেই রাজনৈতিক দলগুলোর মিমাংসার অভাবে।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আশরাফ আলী আকন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য শরীফ ভূঁইয়া, বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মির্জা এম হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন।