ঢাকা: যমুনা ব্যাংকের ১২৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাসিবসহ আটজনকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন-সোলেমানের বাবা শফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, বিসমিল্লাহ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুত্তাকি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ শফি, নেটওয়ার্ক ফ্রেম সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও যমুনা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন।
রায়ে আদালত আসামিদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারক তার রায়ে বলেন, পলাতকদের শাস্তি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার দুই আসামি-যমুনা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরশেদুর রহমান ও এসএম জাহিদুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন এবং বিচারক মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক আল আমিন ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর সোলেমান, তার স্ত্রী, বাবা এবং আরও সাতজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ঢাকার আরেকটি আদালত ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় সোলেমান ও নওরীনসহ নয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে পাঁচটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ বিলিয়ন টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউমার্কেট থানায় আরও ১১টি মামলা করে দুদক।