ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, দেশটি জানায়-ইরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তারা 'সর্বশক্তি দিয়ে' পাল্টা জবাব দেবে।
আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও জেরুজালেম পোস্ট।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, “গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করে ঘোষণা দেন, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযান ‘রাইজিং লায়ন’ প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে এবং সব লক্ষ্য পূরণ করেছে।”
“পারমাণবিক ও ব্যালিসটিক হুমকি নির্মূল করা হয়েছে, যা (ইসরায়েলের) জন্য তাৎক্ষণিক অস্তিত্ব সংকট ও হুমকির উৎস ছিল”, বিবৃতিতে আরও বলা হয়।
“সুরক্ষা সহায়তা দেওয়া ও ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হলে ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ পাল্টা জবাব ইসরায়েল।”
যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কারা?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপের যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ তোলেন।
আর তার প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গে কথা বলেন বলেও ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেছেন, ইসরায়েল এই শর্তে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে রাজি হয়েছে যে ইরান নতুন আক্রমণ শুরু করবে না। তেহরান চুক্তিটি মেনে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে ওই একই সূত্র জানিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইরানি পক্ষের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ হয়েছে এবং এতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের অংশগ্রহণ ছিল।