ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে গাজাবাসীর ইফতারের আয়োজন। ছবি: রয়টার্স
গাজা পুনর্গঠনে আরব লিগ অনুমোদিত ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার কায়রোতে আরব লিগের সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের বিপরীতে একটি বিকল্প পরিকল্পনা পেশ করা হয়। সেখানে গাজায় জরুরি সহায়তা, বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি ট্রাস্ট তহবিল গড়ে তোলা হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে অঞ্চলটি পরিচালিত হবে।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে এই পরিকল্পনাকে সমর্থন দেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজার পুনর্গঠনে একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে এই পরিকল্পনা। এটি কার্যকর হলে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ জীবনমানের দ্রুত ও টেকসই উন্নয়ন হবে।”
মিশরের প্রণীত এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের 'নিজ ভূখণ্ডে থাকার' অধিকার নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
আরব লিগের নেতৃত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছেন।
তবে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র এ পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রথম গাজা পুনর্গঠনের 'বিস্ফোরক' পরিকল্পনার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে জর্ডান ও মিশরে পাঠিয়ে দিয়ে উপত্যকাটির দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং একে পর্যটনবান্ধব 'মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা' হিসেবে গড়ে তুলবে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে 'জাতিগত নিধন'-এর পরিকল্পনা হিসেবে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
সব আরব দেশ এবং বেশ কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।