আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের হুমকির কড়া সমালোচনা করল তুরস্ক। সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এরদোগান শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বাসিন্দার উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়া নিয়ে ভুল অঙ্ক করছেন। ‘ইহুদিবাদী মিথ্যাচারে’ কান দিয়ে ভুল নীতি নিলে সংঘাত আরও বাড়বে।’’
স্বাধীনতাপন্থী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে ইসরাইলি সেনা গাজ়ায় গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, অশান্তি না থামলে গাজ়া ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা। তার পর সেখানে তৈরি হবে ‘রিভিয়েরা অব দ্য মিডল ইস্ট’। আমেরিকা সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের ওই হুমকির পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এবার তাতে শামিল হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর অন্যতম সদস্য তুরস্ক!
অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরাইল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি রাত থেকে তা কার্যকর হয়েছে। কিন্তু দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই একাধিক বার যুদ্ধবিরতির শর্ত খেলাপের অভিযোগ উঠেছে।
এই আবহে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরে ট্রাম্প জানান, গাজা থেকে পাকাপাকি ভাবে সরানো হবে ফিলিস্তিনিদের! সেখানে ভূমধ্যসাগরের ধার ঘেঁষে তৈরি করা হবে বিলাসবহুল হোটেল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি একটা ভালো জমি খুঁজে পাই, কিংবা একাধিক ভালো জমি খুঁজে পাই, বহু অর্থ ব্যয় করে দারুণ কিছু তৈরি করা হবে। গাজার ওই পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার থেকে এটা অনেক ভালো। আমি যাদের সঙ্গেই কথা বলেছি, সকলের আমেরিকার পরিকল্পনা ভালো লেগেছে।’’
সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার সময় এর্ডোগান বলেন, ‘‘এমন কোনো বিষয়ে জড়িত হওয়া উচিত নয়, যা পশ্চিম এশিয়ায় ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং ভাবাবেগকে আঘাত করে।’’