জাসপ্রিত বুমরাহর সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। বল হাতে চোখ ধাঁধানো একটি বছর পার করার আরেকটি বড় স্বীকৃতি পেলেন ভারতের ডানহাতি পেসার। প্রথমবারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন তিনি। আগের দিন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন ৩১ বছর বয়সী তারকা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪ সালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বুমরাহর নাম প্রকাশ করেছে আইসিসি। লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড এবং ইংল্যান্ডের জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে।
বর্ষসেরার দৌড়ে বুমরাহ ছাড়া বাকি তিনজনই ছিলেন ব্যাটার। বছরজুড়ে ছিল ব্যাটারদেরই রাজত্ব। তাদেরকে টপকে সেরা হয়ে বুমরাহ তর্কসাপেক্ষে সাম্প্রতিককালের সেরা বোলার হিসেবে নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করলেন। বর্তমানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে টেস্ট বোলারদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন তিনি।
ভারতের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার 'স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি' জিতলেন বুমরাহ। দেশটি থেকে সবার আগে বছরের সেরা হয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড় ২০০৪ সালে। এরপর শচিন টেন্ডুলকার ২০১০ সালে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২০১৬ সালে বর্ষসেরা নির্বাচিত হন। তারপর টানা দুবার মর্যাদাপূর্ণ এই সম্মাননা জেতেন বিরাট কোহলি ২০১৭ ও ২০১৮ সালে।
২০২৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ১৩ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়ে বুমরাহ ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তার ধারেকাছেও ছিলেন না আর কেউ। এই সংস্করণে ১১ ম্যাচে ৫২ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসন। পুরো বছরে বুমরাহর বোলিং গড় ছিলো ছিল মাত্র ১৪.৯২। গড়ে প্রতি ৩০.১৬ বলে তিনি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
বুমরাহ গত বছর শেষ করে রেকর্ড ৯০৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে। ভারতের সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে এত বেশি রেটিং পয়েন্ট অর্জন করতে পারেননি আর কোনো বোলার। সেই দুর্দান্ত পথচলায় ভারতের দ্রুততম পেসার হিসেবে এই সংস্করণে ২০০ উইকেট শিকারের নজিরও গড়েন তিনি।
২০২৪ সালে কোনো ওয়ানডে খেলেননি বুমরাহ। টি-টোয়েন্টিতে তিনি খেলেন আটটি ম্যাচ, সবগুলোই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। অসাধারণ পারফরম্যান্সে তিনি স্রেফ ৮.২৬ গড়ে ও ৪.১৭ ইকোনমিতে নেন ১৫ উইকেট। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় আসরের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন বুমরাহ।
গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইসিসি ভোটিং একাডেমি ও সমর্থকদের ভোটে আইসিসির বর্ষসেরাদের নির্বাচিত করা হয়।