দু’বছর আগে এই মামলাতেই জামিন নিতে গিয়ে আদালত চত্বরে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পাক দুর্নীতি দমন আদালত সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইমরান খানকে সেই আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর জেলের সাজা দিল।
ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এই মামলায় দোষী হিসাবে চিহ্নিত করেছে আদালত। তার সাত বছরের জেল হয়েছে। পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল ২০২৩ সালের মে মাসে আদালত চত্বর থেকে ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলেছিলেন। এর পরে লাহোর হাই কোর্ট ইমরানের জামিনের আর্জিও মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পিটিআই প্রধান জেল থেকে মুক্তি পাননি।
প্রসঙ্গত, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে ১৬৪৫ কোটি হাজার কোটি রুপি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ইমরান, তার স্ত্রী বুশরার বিরুদ্ধে। পাক তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাব’ (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিল। ২০২৩ সালের ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল তারা। তার পরেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছিল।