![]()
কোনো একদিন প্রয়োজন হলে উঠলেন তবু ঠিক আছে কিন্তু একদিন এরকম আরেক দিন ওরকম করলে শারীরবৃত্তীয় বিষয়গুলি পুরোপুরি ঘেঁটে যায়৷ তাই চেষ্টা করুন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠতে৷ সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। কারণ এই সময়ে কসমিক এনার্জির পজিটিভনেস অত্যন্ত বেশি থাকে। নিজেদের অজান্তেই আমরা অনেক সময়ে বিপদ ডেকে আনি। তবে অনেকগুলি কাজ খালি পেটে একদমই করতে নেই। দেখে নিন সেগুলি কী কী- ১. ব্যথা কমানোর ওষুধ: খালি পেটে কোনো পেন কিলার খেতে নেই। উপযুক্ত খাওয়ার খাবার সুযোগ না থাকলেও অন্তত দুটো বিস্কুট বা শুকনো মুড়ি খেতে পারেন। অ্যাসপিরিন, প্যারাসিটামল বা অন্য কোনো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ খালি পেটে খাওয়া খুবই ক্ষতিকারক। এতে গ্যাস্ট্রিক ব্লিডিং-সহ আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ২. চুয়িং গাম: খালি পেটে চুয়িং গাম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এখনই পালটে ফেলুন। আপনি অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ। এর থেকে ডাইজেস্টিভ অ্যাসিড তৈরি হয় এবং খালি পেটে এটি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। ৩. ডিপ ব্রিদিং করুন: ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ সোজা করে হাত টানটান করে শুয়ে থাকুন এরপর উঠে বসুন৷ ঘুম থেকে উঠে চুপচাপ সোজা হয়ে বসে কিছুক্ষণ ডিপ ব্রিদিং করুন৷ ৪. কড়া কফি বা চা খাবেন না: ঘুম থেকে উঠে কখনই কড়া কফি বা চা খাবেন না ৷ খালি পেটে এই জিনিস আপনার শরীরের পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত করে ৷ খালি পেটে প্রথমেই খান এক গ্লাস পানি৷ ঘুম থেকে উঠে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না ৷ বিশেষত বাড়ির মহিলারা খালি পেটে সব কাজ শুরু করে দেন ৷ এটা কখনই করবেন না ৷ আগে পুষ্টিকর কিছু খাবার খেয়ে নিয়ে যার যার রোজকার কাজে লাগতে হবে ৷ ৬. ভিটামিন সি জাতীয় ফল: পেট খালি থাকলে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বা ফলের রস খাবেন না। এজাতীয় ফলে মজুত সাইট্রিক অ্যাসিড পেটে গ্যাস তৈরি করে। ৭. ওয়ার্কআউট: অনেকের ধারণা থাকে খালি পেটে ব্যায়াম করলে হয়তো বেশি ক্যালরি ঝড়বে। তবে সেটি সম্পূর্ণ ভুল। উল্টো এতে শরীরের শক্তি কমে গিয়ে ঠিকভাবে ব্যায়ামও করা যায় না। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার খেয়ে একটু বিরতির পর ব্যায়াম করা উচিত। পালাবদল/এসএ |