![]()
ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরো গভীর করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন”। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই অগ্রগতির জন্য ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং ২০১৮ সালের নভেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশকে সতর্কতার সাথে উন্মুক্ত করছেন – এবং এর ধারাবাহিকতাতেই জার্মানির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে”। এতে আরও বলা হয়েছে, জার্মানির এখনই থিম্পুতে দূতাবাস স্থাপনের পরিকল্পনা নেই, এবং দিল্লীর দূতাবাস থেকেই আপাতত এই সম্পর্কের লেনদেন পরিচালনা করা হবে। ভুটান ও জার্মানি উভয়েরই একে অন্যের রাজধানীতে অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে। নয়া দিল্লির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সরকার এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে। তারা বলেন, “আমরা এ বিষয়ে অবগত যে দুই দেশ ২০০০ সালের জুলাইয়ে কনস্যুলার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। জার্মানি ভুটানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। সে পথেই এটি হলো পরবর্তী পদক্ষেপ”। ২০০৭ সালে ভুটানে যখন প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তখন তাদের সাথে বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং নর্ডিয়াক দেশগুলোর মতো দাতা দেশ। একই সাথে তারা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয় যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশের কোনটার সাথেই তারা আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী চীনের দিক থেকে এ বিষয়ে অনেক অনুরোধ এসেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জিগমে থিনলে অবশ্য ভুটানের কূটনৈতিক বলয় আরও সম্প্রসারিত করেন এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৩১টি দেশের সাথে চুক্তি করেন। ২০১৩ সালের মার্চের পর জার্মানির সাথে সম্পর্ক স্থাপনই এ ধরণের প্রথম পদক্ষেপ। ওই সময় সবশেষ ওমানের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ভুটান। পালাবদল/এসএস
|