![]()
অনিয়ম বা প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ছাড়াই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছয়টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ১১ টায় একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন অভিবাবকরা। প্রথমবারের মতো গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও ৬টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এদের মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ৬১ শতাংশ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা খুব ভালোভাবেই তা সামলে নিয়েছি। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই কৃষিবিষয়ক সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমবারের মতো গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৬টি কেন্দ্রেই নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে এবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় বলে জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ' এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। আগামী ৫ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হতে পারে বলে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (admission-agri.org) থেকে জানা যাবে। পালাবদল/এমএম
|