![]()
এ ব্যাপারে পাটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন পালাবদল ডটনেটকে জানান, আমরা এখন সমঝোতা নিয়ে ভাবছি না। দলের শীর্ষ নেতার এ ধরণের আচরণ বহুদিন থেকে। তাই ক্ষোভ বহুদিনের। তিনি জানান দলের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন মেবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সমঝোতার কথা বলেছেন। কিন্তু লিখিত কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। তবে আমরা পত্র-পত্রিকায় বিবৃতিতে দেখিছি। সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। এদিকে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি কয়েকজন নেতা সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখনো তারা সমঝোতার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এজন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলের আগে কোনো বহিষ্কার বা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। দলের ষ্টিয়ারিং কমিটির মূলতবি সভা থেকে বলা হয়েছে যেকোনো সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক বিরোধ বা মতপার্থক্য বা ক্ষোভ বা ভিন্নতা নিরসনের উপযুক্ত মাধ্যম হলো নির্দিষ্ট ফোরাম বা কমিটিতে আলোচনা। জেএসডি আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিরোধ নিরসনে আস্থাশীল। তবে ওই সভার সাংগঠনিক প্রস্তাবে বলা হয়, মিডিয়ায় প্রকাশিত দলের ৮ জনের বিবৃতি খুবই অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। আরো বলা হয় ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে গঠিত কমিটি এবং সে কমিটির পদ-পদবী গ্রহণ, দলীয় কর্মকাণ্ডে চার বছর অংশগ্রহণ করে হঠাৎ অবৈধ বলা কোনোক্রমেই ন্যায়সঙ্গত নয়। সভায় আটজনের অতীত অবদান বিবেচনায় নিয়ে অচিরেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে দলীয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। আগামীতে দলটির হাল ধরাকে কেন্দ্র করেই সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, কোটারিতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ এনে অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করে আবদুল মালেক রতনের নেতৃত্বে ৮ জন শীর্ষ নেতা ১১ জানুয়ারি জাতীয় কনভেনশন ডেকেছেন। এক বিবৃতিতে তারা তাদের এমতামত প্রকাশ করেন। পালাবদল/এমএম
|