![]() দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও হারতে হলো নাঈমকে মোমেন্টাম শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মাকে তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই অন্য ওপেনার শেখর ধাওয়ান ফিরে যান। একই ওভারে শূন্য রানে ব্যাট করা শ্রেয়াস আয়ারের ক্যাচ মিস করে বোলিংয়ের মোমেন্টাম হাত ছাড়া করে বাংলাদেশ। সেই শ্রেয়াস আয়ার এবং কেএল রাহুল ৫৯ রানের বড় জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে দূরে নিয়ে যান। শ্রেয়াস আয়ার তিন চার এবং পাঁচ ছক্কায় খেলেন ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস। তিনে নামা কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫২ রান। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ শুরুতে হারায় লিটন দাস এবং সৌম্য সরকারকে। আগের দুই ম্যাচে ভালো খেলা সৌম্য এ ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারেন। শুরুর ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা নাঈম শেখ এবং মোহাম্মদ মিঠুন সামাল দেন। দু'জনে যোগ করেন ৯৮ রান। মিঠুন ২৮ বলে ২৭ রান করে যখন ফিরে যান দলের রান তখন ১৩ ওভারে ১১০। ইএসপিএনের দেওয়া ম্যাচ প্রেডিকশন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ৭৮ ভাগ। কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে ফিরে যান দলের সেরা ভরসা মুশফিকুর রহিম। দিল্লিতে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি। এবার সিরিজ জয়ে তেমনই কিছু তিনি করবেন সেই আশা দেখছিল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত কিছু নয় বরং দলের হালটা ধরে শেষ করার অপেক্ষা ছিল মুশফিকের। কিন্তু তিনিও সৌম্যর মতো গোল্ডেন ডাক মারেন। নাঈম হাসান ৪৮ বলে ১৬৮.৭৮ স্ট্রাইক রেটে দশ চার ও দুই ছক্কায় ৮১ রান করে ফেরেন। দল ১২৬ রানে হারায় ৫ উইকেট। তখনও আশা ছিল দলের। কিন্তু ক্রিজে থাকা মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে মাঠে নামা দলের শেষ ভরসা তরুণ আফিফ হোসেন গোল্ডেন ডাক মারতেই সব শেষ হয়ে যায় দলের। সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (রোহিত ২ , শেখর ১৯, রাহুল ৫২, শ্রেয়াস ৬২ , ঋষভ ৬, মানিষ ২১, দুভে ; আল-আমিন ১/২২, শফিউল ২/৩২, মোস্তাফিজ ০/৪২, বিপ্লব ০/২৯, সৌম্য ২/২৯, আফিফ ০/২০ ) বাংলাদেশ: ১৯.২ ১৪৪ (লিটন ৯, নাঈম ৮১, সৌম্য ০, মিঠুন ২৭, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ০, আমিনুল , শফিউল ৪, মোস্তাফিজ ১, আল-আমিন ০ ; খলিল ০/২৭, সুন্দর ০/৩৪, চাহার ৬/৭, চেহেল ১/৪৩, দুভে ৩/৩০ ) ফল: ভারত ৩০ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দীপক চাহার ম্যান অব দ্য সিরিজ: দীপক চাহার সিরিজ: ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী। পালাবদল/এমএম
|