ইরান থেকে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলের এক সামরিক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা 'ব্যাপক' হতে পারে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় (সেফ রুম) আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ইসরাইলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ও আত্মরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইসরাইলজুড়ে সাইরেন বাজছে এবং দেশটির নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
“সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে,” বলা হয়েছে বার্তায়।
রয়টার্সের সাংবাদিকেরা ইরান ও ইসরাইলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে দেখেছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরান এক শর মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
লেবাননে ইসরাইলের বোমা হামলায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান।
ইসরাইলি বাহিনী আজ মঙ্গলবার লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আজ লেবাননে ইসরাইলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা নিয়েছে।
পালাবদল/এসএ